উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৫

রাজশাহীতে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) মধ্য রাতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন- মহানগরীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকার বকুল আলীর মেয়ে খাদিজা (১৯), একই এলাকার আসাদ আলীর ছেলে মিঠুন আলী (৩০), বাদশা মিয়ার ছেলে মোমিন (২৫), জান মোহাম্মদের ছেলে সোহেল (৩২) ও কর্ণহার থানার মোল্লা ডাইং এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ (৪০)।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম জানান, নগরীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকায় বকুলের ছেলে নাহিদ গত ১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান শুনছিলেন। এ সময় তার প্রতিবেশী মুকুল আলীর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ হওয়ায় তিনি নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করেন। নাহিদ তাৎক্ষণিকভাবে আওয়াজ কমিয়ে দিলে মুকুল চলে আসেন। তবে তার প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গে আবারও বাড়িয়ে দেন। মুকুল আবারও গিয়ে নিষেধ করেন। তখন আসামি নাহিদ ও তার বাবা বকুল আলী, মা ও তার বোন মিলে মুকুলকে গালিগালাজ করেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এই নিয়ে দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নাহিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা লোহার রড দিয়ে মুকুলের মাথায় আঘাত করেন। সেই সঙ্গে চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। এ সময় মুকুলের চিৎকার শুনে তার ছোট ছেলে শাহীন আলম ও জামাতা আলমগীর সেখানে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন মুকুলকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত মুকুলের ছেলে শামিম ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার পর রাজশাহীর শাহ মখদুম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে থানার ওসি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।