বদলে যাবে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা

সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের পাশাপাশি হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ৭৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের মাটি ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এই পথে চলাচলকারী বিভিন্ন জেলার যানবাহন সহজেই রাস্তা পরিবর্তন করতে পারবে। পাশাপাশি কমবে সড়ক দুর্ঘটনা ও দূরত্ব। বদলে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। 

আধুনিক ইন্টারচেঞ্জে থাকবে নানা সুযোগ-সুবিধা। গাড়ি পার্কিং সুবিধাসহ চালকদের জন্য বিশ্রামাগার থাকবে। পথচারীদের পারাপারের জন্য ফ্লাইওভার ও ওয়াকওয়ে থাকবে। ইন্টারচেঞ্জ চালু হলে উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের নতুন দিগন্তের দ্বার খুলবে।

প্রশস্ত করা হচ্ছে রাস্তাখোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হাটিকুমরুল গোলচত্বর মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এজন্য প্রায়ই এখানে যানজট লেগে থাকে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। দুর্ভোগ কমাতে মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গোলচত্বরের এক কিলোমিটার দূর থেকেই পথ পরিবর্তন করে গন্তব্যে যাবে বিভিন্ন জেলার যানবাহন। ইন্টারচেঞ্জে দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহনের জন্য থাকবে আলাদা লিংক রোড।

বাসচালকরা বলছেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বরে যানজটে বসে থাকতে হয়। বিশেষ করে দুই ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শেষ থাকে না তাদের। মহাসড়ক উন্নীতকরণের পাশাপাশি হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় যে ইন্টারচেঞ্জ হচ্ছে, এটির কাজ শেষ হলে দুর্ভোগ কমে যাবে। সহজেই হাটিকুমরুল গোলচত্বর পার হতে পারবেন তারা।

সিরাজগঞ্জের বাসচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বরে প্রায়ই সময় যানজটে বসে থাকতে হয়। উত্তরের সব জেলার গাড়ি এখান দিয়ে যাতায়াত করে। এতে যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়। ইন্টারচেঞ্জ চালু হলে আমাদের ভোগান্তি কমে যাবে।

হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যাতায়াত সহজ হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে উত্তরাঞ্চলের মানুষের। ইতোমধ্যে পাঁচলিয়া এলাকায় মাটি ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদার দ্রুতগতিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এখানে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যদি দ্রুত সময়ে জমি অধিগ্রহণ না করা যায়, তাহলে ইন্টারচেঞ্জের কাজটা শেষ করতে আরও সময় লাগবে।