এক গুদামে মিললো ১৫ হাজার বস্তা সার

বগুড়ায় অবৈধভাবে মজুত করা প্রায় ১৫ হাজার বস্তা ইউরিয়া ও ডিএপি সার জব্দ করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রবিবার মধ্যরাতে শহরতলির এরুলিয়া এলাকায় মঞ্জু-করিমের গুদাম থেকে সারগুলো জব্দ করে গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় একটি সারবোঝাই ও একটি খালি ট্রাকও জব্দ করা হয়। গুদামের মালিক শহরের টিনপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী করিমের ছেলে নাজমুল পারভেজ কনক পালিয়ে গেছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গুদামটি শহরের বড়গোলা টিনপট্টি এলাকার মেসার্স মঞ্জু-করিমের মালিকানাধীন। তাদের পক্ষে করিমের ছেলে নাজমুল পারভেজ কনক গুদাম দেখভাল করেন। কনক সারের ডিলার না হলেও তিনি অধিক লাভের আশায় দীর্ঘদিন ধরে ওই গুদামে অবৈধভাবে ইউরিয়া ও ডিএপি সার মজুত
করে আসছেন। গোপনে এমন খবর পেয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদরের এরুলিয়া এলাকার ওই গুদামে অভিযান চালানো হয়। গুদাম খুলে ও বাইরে লোড করা একটি ট্রাকে প্রায় ১৫ হাজার বস্তা সার পাওয়া যায়। পরে গুদাম সিলগালা, ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়।

গুদামের নিরাপত্তাকর্মী মজিবর রহমান জানান, আগে গুদামটি খালি ছিল। গত এক মাস থেকে সেখানে সার মজুত করা হচ্ছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল জানান, বগুড়া সার ডিলারের তালিকায় নাজমুল পারভেজ কনকের নাম নেই। এরপরও তিনি অবৈধভাবে গুদামে সার মজুত করে জেলার ১২ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের মাঝে অধিক লাভে সার বিক্রি করে আসছিলেন। কনকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার
প্রস্তুতি চলছে।