চিনি-চুন-ফিটকিরি দিয়ে গুড় তৈরি, পৌনে ৪ লাখ টাকা জরিমানা 

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে গুড় তৈরির অভিযোগে দুটি কারখানাকে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়ছে। সেই সঙ্গে ৮৫৫ কেজি ভেজাল গুড় জব্দের পর ধ্বংস করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলী ও দুলাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে আখের ভেজাল গুড় তৈরি করে আসছিলেন। চিনি, বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও আটা দিয়ে গুড় তৈরি করতেন তারা। খবর পেয়ে র‍্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে সেকেন্দার আলীর কারখানায় ৫৫৫ কেজি এবং দুলাল হোসেনের কারখানায় ৩০০ কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করে। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ আজ সকাল ৯টায় র‍্যাব-৫ এর সহায়তায় প্রথমে সেকেন্দার আলীকে তিন লাখ টাকা এবং পরে দুলাল হোসেনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ভেজাল গুড় ও তৈরির উপকরণ ধ্বংস করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ জানান, সেকেন্দার ও দুলাল অধিক মুনাফা লাভের আশায় চিনি, চুন, ফিটকিরি, হাইড্রোজ ও কেমিক্যাল মিশিয়ে ভেজাল গুড় বানিয়ে হাট-বাজারে বিক্রি করতেন। সেই সঙ্গে গুড়ের রঙ উজ্জ্বল করতে মেশানো হতো বিষাক্ত কেমিক্যাল। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গুড় ও তৈরির উপকরণ ধ্বংস এবং অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সেবার মান যাচাইয়ে প্রতিদিন বাজার তদারকি অভিযান চালিয়ে আসছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজশাহী বিভাগীয় অফিস। জনস্বার্থে েই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ আগস্ট র‍্যাব-৫ এর সহযোগিতায় সেকেন্দার আলীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং ৭০০ কেজি ভেজাল গুড় ও তৈরির উপকরণ ধ্বংস করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক।