উপজেলা চেয়ারম্যানের ‘মারধরে’ আহত ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ফেসবুকে লাইভ করার জেরে জামিল আলিম জীবন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তবে দীর্ঘ সময় আইসিইউ-তে রাখা হলেও অস্ত্রোপচারের জন্য বের করে এনেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাক্তার শামীম ইয়াজদানী ও নিহতের চাচা এস এম ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। জামিল আলিম জীবন নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজিপুর এলাকার ফরহাদ হোসেন শাহর ছেলে। তার ৪ মাস বয়সী একটি শিশুসন্তান রয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এস এম ফিরোজ জানান, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাকে মারধর করা হয়। জীবনকে অজ্ঞান অবস্থায় রামেকের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জীবনের মাথায় অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে বের করে আনা হয়েছিল। কিন্তু তখন অপারেশন করা সম্ভব নয় জানিয়ে ডাক্তাররা চলে যান। এরপর তাকে আবারও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা গেছে জীবন।

এদিকে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের ভাই আলিম আল রাজিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ওই মামলায় ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন:

ফেসবুক লাইভের জেরে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ