নৌকাভ্রমণে নিয়ে হত্যার পর গলায় পাথর বেঁধে ডুবিয়ে দেয় লাশ

সিরাজগঞ্জে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্লু-লেস এক হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা তিন জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে নিহত কৃষকের মোবাইল ফোনসহ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল। গ্রেফতার চার জন হলেন- জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার গুনাইগাতি গ্রামের আব্দুল মোমিন, মো. আলাউদ্দিন ও সোহেল রানা।

পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের গুনাইগাতি গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমানকে নিয়ে চলনবিলে নৌকাভ্রমণে বের হন একই গ্রামের মোমিন, আলাউদ্দিন ও সোহেল রানা। নৌকায় গান-বাজনা সম্পর্কিত টাকা-পয়সা নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে সাইদুর রহমানকে মাথায় আঘাত করে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে ওই তিন জন। নিহতের লাশ গুম করার জন্য গলায় পাথর বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। ঘটনার দুদিন পর একই উপজেলার গুনাইগাতি গ্রামের পশ্চিমে কুমার ব্রিজের কাছে লাশটি ভেসে ওঠে। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডটির রহস্য উদঘাটনে দায়িত্ব দেওয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিমকে। তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জুলহাস উদ্দিন, আব্দুল ওয়াদুদ ও এএসআই মিন্টু সেখ বুধবার দুপুরে একই উপজেলার এলংজানি বাজারে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিহতের মোবাইল ফোনসহ আলামত উদ্ধার করা হয়।

প্রেস কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) নুর আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম ও গোয়েন্দা শাখার মামলা সংশ্লিষ্ট টিম।