এক রাতে দুই সড়কে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় এক রাতে দুটি সড়কে তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় জুয়েল রানা নামে এক পেয়ারা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে ও বুধবার ভোরে উপজেলার আড়গাড়াহাট-বেলালবাজার সড়কের কুইচ্চাগাড়া, চৌডালা ইউনিয়নের কানসাট-চৌড়ালা এবং শুক্রবাড়ি-রানীবাড়ি সড়কে এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ছিনতাইয়ের ঘটনা বলছে পুলিশ।

নিহত জুয়েল রানা (২৭) শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ধুমানীনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

নিহত জুয়েলের সঙ্গে থাকা সাদ্দাম আলী বলেন, ‘বুধবার ভোর ৬টার দিকে জুয়েল ও আমি মোটরসাইকেলযোগে নাচোল উপজেলার গোলাবাড়ি এলাকায় কৃষি খামারে যাচ্ছিলাম। আড়গাড়া-বেলালবাজার সড়কের কুইচ্চাগাড়া এলাকায় ডাকাতদল আমাদের গতিরোধ করে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে ডাকাতদলের সদস্যরা জুয়েলকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।’ 

স্থানীয়রা জানান, ‘সন্ধ্যা হলেই এসব সড়ক ডাকাতের দখলে চলে যায়। বুধবার ভোরে ডাকাতদল কানসাট-চৌডালা সড়কের উদয়নগর এলাকায় লিয়াকত আলী নামে এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে অর্থ ছিনিয়ে নেয়। মঙ্গলবার রাতে শুক্রবাড়ি-রানীনগর সড়কের দামুস এলাকায় চালক ও যাত্রীদের বেঁধে একটি অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদল।

ডাকাতির খবর পেয়ে জেলা পুলিশের গোমস্তাপুর ও সদর উপজেলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আজম, আতোয়ার রহমান, শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহেম্মদ এবং গোমস্তাপুর থানার ওসি আলমাস আলী সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

গোমস্তাপুর থানার ওসি আলমাস আলী সরকার বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কানসাট-চৌড়ালা সড়কে রাতে পুলিশের টহল দল থাকলেও প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। কিছু ডাকাত আটক হয়ে কারাগারে গিয়ে পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য সন্ধ্যার পর থেকে কানসাট-চৌড়ালা সড়কে মানুষের যাতায়াত কমে যায়।