শিশুর অস্বাভাবিক আচরণে ধরা পড়লো ‘ধর্ষক’

সাড়ে তিন মাস পর নিজ এলাকায় ‘ধর্ষককে’ দেখে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে শিশুটি। সেইসঙ্গে ঘুমের মধ্যে ভয়ে চিৎকার দিয়ে কেঁদে ওঠে। এরই সূত্র ধরে শনাক্ত হয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি।

গত ১৩ জুলাই নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নে এক বিয়েবাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল শিশুটি (১০)। এতদিন ভয়ে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন শিশুটির মা। সোমবার (৩১ অক্টোবর) ধর্ষণে অভিযুক্ত আব্দুস সালামকে (৪৫) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সালাম দয়ারামপুর ইউনিয়নের রমজান খলিফার ছেলে।

শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগাতিপাড়া মডেল থানার এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৩ জুলাই এক আত্মীয়ের বিয়েতে শিশুটিকে পাঠান মা। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার হুমকি দেয় সালাম। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। শিশুটি ভয়ে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। রবিবার সালাম এলাকায় ফিরলে তাকে দেখে ভয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে শিশুটি। ওই দিন রাতে ঘুমের মধ্যে ভয়ে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। পরে পুরো ঘটনা মাকে জানায়। এ ঘটনায় রাতেই শিশুটির মা মামলা করেন। সোমবার সকালে সালামকে গ্রেফতার করা হয়।’ 

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাড়ে তিন মাস পর রবিবার অভিযুক্ত সালাম এলাকায় ফিরলে তাকে দেখতে পায় শিশুটি। এ সময় শিশুটি দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। রাতে ঘুম পাড়িয়ে দিলে ঘুমের মধ্যে ভয়ে চিৎকার করে কান্না করে। পরে থানায় এসে পুরো ঘটনা জানায়। মামলার পর সোমবার সকালে সালামকে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’