বাবা হওয়ার পরদিন মাদ্রাসাশিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নে শহীদুল ইসলাম (৫৮) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ইউনিয়নের সরদারপাড়ার শোবার ঘরের আড়ায় মাফলার দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ছেলেসন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি।

শহীদুল ইসলাম সরদারপাড়ার মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। দীর্ঘদিন নামুজা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় এসএসআই ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় আরবি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া নামুজা পুরাতন হাট মসজিদ ও ভান্ডারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করতেন।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সদর থানার এসআই মন্ডাজ আলী বলেন, ‘মানসিক সমস্যার কারণে ওই শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। এরপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় দুই বছর আগে ক্যানসারে স্ত্রীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শহীদুল। পরে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করান পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

শহীদুল ইসলামের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতের খাবারের পর শহীদুল আলাদা ঘরে ঘুমাতে যান। স্ত্রী পাশের ঘরে ছিলেন। প্রসূতি হওয়ায় তার সঙ্গে বোন ছিলেন। ফজরের নামাজের সময় শহীদুল ঘর থেকে বের হননি। শুক্রবার সকালে নাশতার জন্য ডাকতে গেলে ঘরের আড়ায় মাফলার দিয়ে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ দেখেন স্বজনরা।

এসএসআই ফাজিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবু জাফর বলেন, ‘মাদ্রাসার আরবি বিভাগের শিক্ষক শহীদুল ইসলাম প্রায় ছয় মাস ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন।’