রাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

রেললাইনে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

এবার রেললাইনে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহী-ঢাকা রুটে আবারও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

রবিবার (১২ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বিভাগের সামনে রেললাইনে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাবি শিক্ষার্থীদের দেওয়া আগুনের কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলে ট্রেন যোগাযোগ আবারও চালু করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত চারটি ট্রেন আটকা পড়েছে। যাত্রীরা চাইলে ট্রেনের টিকিট ফরত দিয়ে টাকা নিতে পারবেন।’

এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে রেললাইনে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাত ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছিল। এখন আবার বন্ধ হয়ে গেছে ট্রেন যোগাযোগ।

শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ নামের একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলামিন। বাসের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে চালক শরিফুল ও চালকের সহকারী রিপনের কথা কাটাকাটি হয়। বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে রিপনের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর আবার বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক দোকানদার এসে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা হামলা চালান। একপর্যায়ে স্থানীয় দোকানদাররা বিনোদপুর বাজারে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকের ভেতরে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। থেমে থেমে চলা দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুই শতাধিক আহত হন। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর এলাকায় দোকানে ও পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। তিন ঘণ্টা পর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।