দুপচাঁচিয়ার পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সচিব কার্তিক চন্দ্র দাসসহ তিন জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতিসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিদের নাম সংবলিত আদেশ জালিয়াতি করে তা বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে জমার অভিযোগে দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার (২১ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে এ মামলা করেন। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা হাইকোর্টের ফৌজদারি মিস মামলার গত ২০১০ সালের ১৯ জুলাইয়ের একটি আদেশ জালিয়াতমূলে সৃজন করে তা বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে জমা দিয়ে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ গ্রহণে সক্ষম হন। আসামিরা হাইকোর্টের আদেশের তারিখ, বর্ণনা, আসামিদের নাম, মামলার নম্বর, বিচারপতিদের নাম সংবলিত আদেশ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করে বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে জাল কাগজকে সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। হাইকোর্টের রিট শাখার আদেশের আলোকে সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল মোমেন বাদী হয়ে তিন আসামির বিরুদ্ধে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পিটিশন মামলা করেন।

এ ছাড়া মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়ার উপ-পরিচালককে নির্দেশ দেন। পরে ওই মামলাটি দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। এরপর প্রধান কার্যালয় থেকে তিন আসামি দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সচিব কার্তিক চন্দ্র দাস ও দুপচাঁচিয়ার ধাপ সুখানগাড়ির সোলাইমান আলীর ছেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী আবদুল মজিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার অনুমতি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান নিজ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।