মাদ্রাসার হেলে পড়া দেয়াল ধসে নৈশপ্রহরীর মৃত্যু, আহত ৪

বগুড়ায় জামিল মাদ্রাসার সীমানা প্রাচীর ধসে আইনুল হক (৫৫) নামে এক নৈশপ্রহরীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দুই শিশু ও এক নারীসহ চার জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে শহরের চকফরিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক বগুড়া সদরের মাটিডালি এলাকার মুক্তা খাতুন (৩৫), মক্তবের শিক্ষার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা এলাকার হামিম (১২), কাহালুর মেফতাজুল (৫) ও ভাঙারি ক্রেতা ভ্যান চালক গাবতলীর বাগবাড়ীর মৃত গেদু মিয়ার ছেলে শুকুর আলী (৪৮)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া শহরের চকফরিদ এলাকায় জামিল মাদ্রাসার পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে সীমানা প্রাচীর কয়েক মাস আগে হেলে পড়ে। ওই প্রাচীরের পাশে মাদ্রাসার রান্নাঘর। সেখানে থাকা পকেট গেট দিয়ে মাদ্রাসার লোকজন যাতায়াত ও নারী অভিভাবকরা সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে ভাঙারি ক্রেতা শুকুর আলী ভ্যান নিয়ে সেখানে আসেন। নৈশ প্রহরী আইনুল হক ওই ভ্যান চালককে তাড়িয়ে দিতে হেলে যাওয়া প্রাচীরের কাছে যান। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে ওই প্রাচীরটি ধসে পড়ে। এতে আইনুল হক দেওয়ালের নিচে চাপা পড়েন। আহত হন ভ্যান চালক শুকুর আলী, শিক্ষার্থী হামিম, মেফতাজুল ও অভিভাবক মুক্তা।

খবর পেয়ে বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসকরা আইনুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত চার জনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইনুল হক সিরাজগঞ্জ সদরের চরনান্দিনা গ্রামের মৃত মনসের শেখের ছেলে। তিনি প্রায় এক মাস আগে এখানে কাজে যোগ দেন।

আমিনুল ইসলাম নামে মাদ্রাসার শিক্ষক জানান, দেয়াল ডিঙিয়ে অনেকে মাদ্রাসার ভেতরে আসেন। নিষেধ করলেও কেউ শোনে না। শুক্রবার দুপুরে কেউ আসার চেষ্টা করায় দেওয়ালটি ভেঙে পড়েছে। আর এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বগুড়ার বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম জানান, মারা যাওয়া নৈশপ্রহরীর পরিবারের সদস্যরা এসেছেন। তারা মামলা না করায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।