রোজার পর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করা হবে: হারুনুর রশীদ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ বলেছেন, ‘সব স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সরকার পতনের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলার ভয় পাবেন না। আওয়ামী লীগ সরকার জুলুমকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তাদের পতন ঘটাতেই হবে। আগামী দিনে কঠোর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে দেশকে রক্ষা করতে হবে। রমজানের পর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করা হবে।’

বিদ্যুৎ, গ্যাস, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিএনপির পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের ফুড অফিস মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে আমরা জনগণের অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবো। বর্তমানে দেশের রাজনীতির ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। কতিপয় লোক জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে বসে থাকবে। অথচ আমরা নাকি এর প্রতিবাদ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে পারবো না। পুলিশ এসব কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। সরকারের ইশারায় মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।’

‘আওয়ামী লীগ পথহারা দল’ উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দরকার নেই, অথচ ক্ষমতায় না থাকলে তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করেছে। এমন কর্মকাণ্ডের জন্য দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। তাই বিকল্প উপায়ে বিরোধীদের দমন ও নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।’

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘দেশের আলেম-ওলামাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দি রাখা হচ্ছে। গ্রামগঞ্জে ইসলামের তাফসির মাহফিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ নাচ গান ঠিকই চলছে। এই হলো আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি।’

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তসিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তাসেম আলী, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি তাবিউল ইসলাম তারিফ, বিএনপি নেতা আব্দুল বারেকসহ অন্যান্যরা।