পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি: ৩ কিশোর মিলে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

বগুড়ার ধুনটে প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় এক কিশোর পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছে। একইসঙ্গে তার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুর নাম জানিয়েছে। শনিবার (৬ মে) সকালে তাকে হেফাজতে নেওয়ার পর বিকালে জেলার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আজই ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তি রেকর্ডের জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হবে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পুলিশ হেফাজতে নেওয়া কিশোর (১৭) পেশায় শ্রমিক। স্বীকারোক্তিতে বলেছে, তারা তিন বন্ধু মিলে শিশুটিকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। বৃহস্পতিবার বিকালে শিশুটি বাড়ি থেকে এলাঙ্গী বাজারের দিকে যাওয়ার সময় তারা ধরে এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাতের পর গলাটিপে হত্যা করে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, শিশুটি নিখোঁজের পর স্বজনরা সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও পাননি। পরদিন শিশুর বাবা ধুনট থানায় জিডি করেন। রাত ৮টার দিকে এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন জঙ্গলে লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার ও হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নামে। শিশুর বাবা শনিবার সকালে থানায় হত্যা মামলা করেন।

তিনি জানান, পুলিশের হেফাজতে নেওয়া ওই কিশোর হত্যা ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করলে বিকালে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি রেকর্ডের জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হবে। তার সঙ্গে থাকা অপর দুজনের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।