নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র হলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জলিল খন্দকার। তিনি পৌর বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছিলেন। তিনি জগ প্রতীকে পেয়েছেন ছয় হাজার ৯২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী বর্তমান মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন দুই হাজার ৯২৪ ভোট। বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় রিটার্নিং ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন জানান, তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এম সাহিদ লাঙ্গল প্রতীকে ৪৯২, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা কামরুল ইসলাম হাতপাতা প্রতীকে ১৩৯, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হোসেন সরকার আবুল নারিকেল গাছ প্রতীকে এক হাজার ৫৬৫ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত মেয়র জলিল খন্দকারের প্রাক্তন স্ত্রী আউলিয়া খন্দকার ইস্ত্রি প্রতীকে ১৮৩ ভোট পেয়েছেন।

তিনি আরও জানান, পৌরসভায় মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ আট হাজার পাঁচ ও নারী আট হাজার ৭১ জন। মোট ভোট পড়েছে ১২ হাজার ২৩০টি। ফাঁকা ভোট ছিল ৩২টি। ভোটের হার ৭৬.২৬ শতাংশ। মোট ভোট সংগ্রহের এক অষ্টমাংশ না পাওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী এসএম সাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা কামরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আউলিয়া খন্দকারের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তালোড়া পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি গত ১৩ জুন মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল জলিল খন্দকার, মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু হোসেন সরকার আবুলসহ ১২ নেতাকে দলীয় সব পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে যান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা কামরুল ইসলাম। তিনি প্রচারণা থেকে সরে থাকলেও ইভিএমে তার নাম ও প্রতীক ছিল।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়, তিন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ ও ৯ সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ করা হয়। সকাল থেকে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটাররা কেন্দ্রে আসেন। দুই দফা বৃষ্টিতে ভোটে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।