বগুড়ায় জামায়াতের নায়েবে আমিরসহ আট নেতাকর্মী গ্রেফতার

বগুড়ার শাজাহানপুরে নাশকতার মামলায় জামায়াতের নায়েবে আমিরসহ আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতভর শাজাহানপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

জামায়াতের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জামায়াতের সমাবেশকে সামনে রেখে সরকার বিরোধীদের দমন-নিপীড়নের অংশ হিসেবে পুলিশ দিয়ে জামিনে থাকার পরও গ্রেফতার করছে। এ ছাড়া রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে।

গ্রেফতার জামায়াতের নেতাকর্মীরা হলেন- বগুড়ার শাজাহানপুরের মাঝিড়া ইউনিয়নের ডোমনপুকুর দেওয়ানপাড়ার মৃত হায়দার আলী খন্দকারের ছেলে ও উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সালাম (৬৫), সাজাপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (৫৫), খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খলিসাকান্দি
মধ্যপাড়ার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে মোস্তফা কামাল (৫৫), বগুড়া সদরের পশ্চিম গোদারপাড়ার মৃত আবুল হোসেন ধলুর ছেলে আরিফুল ইসলাম মুক্তা (৩৯), ডাকুরচকের মৃত ওমর ফারুকের ছেলে জিয়া আলম (২৮), আকাশতারা মধ্যপাড়ার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে আবুল হাসান (৪৪), উত্তর গোদারপাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোখলেছার রহমান মুকুল (৪৮) ও বারপুর দক্ষিণপাড়ার নওশের আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬)।

পুলিশ জানিয়েছে, পূর্বে নাশকতার মামলার আসামি আট জামায়াতের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর এলাকা থেকে পাঁচ ও শাজাহানপুর থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা
হয়। শুক্রবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ বিকালে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমির
মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল ও সেক্রেটারি মাওলানা আ স ম আব্দুল মালেক এক বিবৃতিতে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে বিনা কারণে তাদের গ্রেফতার করেছে। আমরা এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি। একইসঙ্গে অন্যায়ভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি না করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

জামায়াতের অভিযোগ প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম ও সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, পূর্বের নাশকতার মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কারো বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি বা হয়রানি করা হয়নি।