এমটিএফই অ্যাপে প্রতারণার অভিযোগে দুই জন গ্রেফতার

দুবাইভিত্তিক মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরের পর তাদের আদালতে চালান দিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন- নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে লতিফুর বারী (৪২) ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিষহারা গ্রামের দিজেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে দিপেন্দ্রনাথ সাহা (৪৩)। এর মধ্যে দিপেন্দ্রনাথ মোহনপুর উপজেলার খালমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, এমটিএফই অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে গত ২৩ জুলাই আদালতে একটি মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে ওই মামলাটি রাজপাড়া থানায় রেকর্ড করে তিনটি সংস্থা তদন্ত করছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, খুব দ্রুত তাদের পেয়ে যাবো।

পুলিশ কমিশনার বলেন, এমটিএফইর আগে আলটিমা উইলেট নামের আরেকটি অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানেও অনেকে প্রতারণার শিকার হন। এ নিয়ে গত ২৬ জুন বোয়ালিয়া থানার একটি মামলা হয়। সে মামলায় ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১৬ আগস্ট বন্ধ হয়ে গেছে এমটিএফই নামের দুবাইভিত্তিক এই অনলাইন প্রতিষ্ঠান। এটি অনলাইনে এমএলএম ব্যবসা শুরু করেছিল। রাজশাহীসহ সারা দেশে এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

এমটিএফই অ্যাপে বিনিয়োগ নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে ২৩ জুলাই আইনজীবী জহুরুল ইসলাম রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। এতে এমটিএফই ছাড়াও আলটিমা উইলেট অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা উল্লেখ করা হয়। আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান আরজিটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি তদন্তের নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে তিন সংস্থার তিন কর্মকর্তাকে যৌথভাবে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পর দিন মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়।

রাজপাড়া থানার এসআই নূর ইসলাম, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই মোস্তাফিন ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই শিমুল যৌথভাবে মামলাটি তদন্ত করছেন।