বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই নিহত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র দুই চাচাতো ভাই নিহত ও তাদের এক বন্ধু আহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বগুড়া-নওগাঁ সড়কের চৌমুহনী লাল ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাসটি আটক করলেও এর চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে নিহতের ভাই রাকিব হোসেন মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপচাঁচিয়া থানায় বাসের অজ্ঞাত চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। দুপচাঁচিয়া থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে নওগাঁর রানীনগর শের-ই-বাংলা মহাবিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র শাকিল হোসেন (২২) ও তার চাচাতো ভাই একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নওগাঁ ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সজীব হোসেন (২২)। আহত হয়েছেন তাদের বন্ধু একই উপজেলার প্রাণনাথপুর গ্রামের হেলাল হোসেনের ছেলে মাহাবুব রহমান (২২)।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে শাকিল হোসেন, সজীব হোসেন ও মাহাবুব রহমান অ্যাপাচি মোটরসাইকেলে চড়ে বগুড়া শহরে যান। কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে তারা বাড়ির দিকে রওনা দেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী লাল বিজ্রের কাছে বগুড়া-নওগাঁ সড়কে পৌঁছান। এ সময় নওগাঁ থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী বেপরোয়া গতির শ্যামলী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৫১২১) চালক সামনে থেকে মোটরসাইকেলে চাপা দেন। এতে মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে গিয়ে তিন জন সড়কে ছিটকে পড়েন।

চালক ও হেলপার চৌমুহনী বাজারে বাস ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত তিন জনকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা শাকিল হোসেন ও সজীব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। বন্ধু মাহাবুব রহমান চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে নিহত শাকিলের বড় ভাই রাকিব হোসেন মঙ্গলবার দুপচাঁচিয়া থানায় শ্যামলী পরিবহনের অজ্ঞাত চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে বাস চালিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মোটরসাইকেলে চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন।

দুপচাঁচিয়া থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, মামলা হয়েছে। বাস তাদের হেফাজতে রয়েছে। আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। দুজনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।