শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারধর-হুমকি, এমপির ভাগনেসহ ৫ জন কারাগারে

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের আপন ভাগনেসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খান জানান, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মানিকপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি রুবেল বালীকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের করিম বালীর ছেলে। এ ছাড়া ২ নম্বর আসামি ও এমপির ভাগনে জামালউদ্দিনকেও (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি বনপাড়া পৌর শহরের মালিপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে।

এর আগে, শুক্রবার রাতে একই মামলার আসামি মালিপাড়ার শের আলীর ছেলে ওসমান গণি (৩১), একই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে আবু বক্কর (২৯) ও উপলশহর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে জুয়েল রানাকে (২৬) গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা যায়, গ্রেফতার রুবেল নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর ঘনিষ্ঠ সহচর ও জামালউদ্দিন তার আপন ভাগনে।

ওসি শফিউল আযম খান আরও জানান, রবিবার দুপুরে আসামিদের কোর্টে চালান দেওয়া হয়। এরপর আদালত আসামিদের নাটোর জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফের কার্যালয়ে ঢুকে তাকে মারধর ও গালিগালাজ করে এবং ওই শিক্ষা কর্মকর্তার হাত কেটে নেওয়াসহ গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় স্থানীয় এমপির ভাগনে ও ঘনিষ্ঠ সহচরসহ ৩০/৩৫ ক্যাডার। এই অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলা করার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীকে বলেন, ‘আমার নাম জড়িয়ে যারা এই জঘন্য কাজটি ঘটিয়েছে তারা কেউ আওয়ামী লীগের অনুসারী হতে পারে না এবং আমিও তাদের চিনি না। অপরাধীরা যে-ই হোক তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত।’