ট্রাক পেয়ে মাহিয়া মাহি বললেন, ‌‘পছন্দ করে নিয়েছি, জয়ী হবো’ 

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা) ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর ছয়টি আসনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ। রাজশাহী ছয়টি আসরের ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

প্রতীক পেয়ে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘ট্রাক প্রতীক আমি পছন্দ করে নিয়েছি। প্রচারের প্রথম দিন সাংগঠনিক কাজ করেছি। সন্ধ্যায় তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালায় নির্বাচনি কার্যালয় উদ্বোধন করেছি। এখানে আমার নানার বাড়ি। এখান থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করতে চাই।’

প্রতীক বরাদ্দের পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে একটি খেলনা ট্রাক নিয়ে বের হন মাহি। পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মা-বাবা, স্বামী ট্রাক প্রতীক পছন্দ করার জন্য বলেছেন। এছাড়া অনেক জায়গায় জিজ্ঞাসা করেছি, কী প্রতীক নিলে আমার ভালো হয়। এলাকার মানুষও বলেছেন, ট্রাক প্রতীক নিলে তারা চিনতে পারবেন। এই আসনে যারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন, তারা সবাই আমাকে পচানোর চেষ্টা করবেন যে, ট্রাক খাদে পড়ে যাবে, চাকা পাংচার হয়ে যাবে। তো এরকম যখন তারা করবেন, তখন উল্টো আমার প্রচারণা বেশি হবে। মানুষের মাথায় ঢুকিয়ে দেবে, ট্রাক আমার প্রতীক। তাই ট্রাকটাই আমার জন্য বেস্ট।’

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী মাহি বলেন, ‘আমার এলাকার মানুষ এমনভাবে বসে আছেন যে, তারা কখন ভোট দেবেন। তারা সেবক আনবেন। এখানে পরিবর্তন চান। তারা চান না, এখানে তাদের ধমকি দেওয়া হোক। তারা এখানে ভয় পেয়ে বসবাস করবেন, এটা তারা চান না। মানুষ চান বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বন্ধুসুলভ নেতা, যার পাশে বসে ভাত খাওয়ার সুযোগ পাবেন, তাকে ধরার সুযোগ পাবেন, কোনও বিপদ হলে তার কাছে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু আমাদের এখন যারা নেতা আছেন, তাদের মধ্যে অনেকে বড়লোক আছেন, প্রভাবশালী আছেন। তাদের ড্রয়িংরুম পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ গ্রামবাসী পান না। আমি তাদের কাছাকাছি থাকবো, তারা এটা জানেন। এজন্য তারা আমাকে ভোট দেবেন এবং আমি জয়ী হবো।’

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে মাহি বলেন, ‘পরিবেশ আজকে থেকে বোঝা যাবে। আমরা যখন প্রচার করতে যাবো, তখন দেখবো কত রকমের বাধা আসে। তখনই আসলে বুঝতে পারবো, পরিবেশ কেমন। বাধা তো আসবেই। কেউ কি চাইবে আসনটি ছেড়ে দিই বা অন্য কেউ চলে আসুক। এটা তো কেউই চাইবে না। অজপাড়াগাঁয়ের মানুষ আমাকে চেনেন। আমি মাঠে অবশ্যই সুবিধা পাবো। আপনি অজপাড়াগাঁয়ে গেলে মানুষ আপনাকে চিনবেন না, কিন্তু আমি যদি যাই, তারা আমাকে চিনবেন। কারণ এখন ডিজিটাল যুগ। প্রত্যেকের ঘরে মোবাইল ও ইন্টারনেট আছে। সেই ইন্টারনেটে তারা একটি হলেও আমার গান দেখেছেন এবং তারা আমাকে চেনেন। মা-বোনদের কাছে গেলে তারা আমাকে জড়িয়ে ধরেন। এটাই আমার অ্যাডভানটেজ।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু সেই আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পান। রাজশাহী-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। তিনি ও মাহি বাদেও আরও ছয় জন প্রার্থী রয়েছেন।