স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজের অভিযোগে বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার

বগুড়ার দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা ও মো. শোকরানার পক্ষে কাজ করার অভিযোগে দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট কেএম হুমায়ুন কবির এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা হলেন—কাহালু উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কালাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জোবাইদুল ইসলাম সবুজ, উপজেলা বিএনপির সদস্য ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ্ মেহেদী হাসান রঞ্জু, কাহালু সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আবদুল মান্নান, কাহালু পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম ও কাহালু উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদ রানা এবং সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সদস্য মুশফিকুর রহমান মদন, সহিদুল ইসলাম স্বপন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি, সদস্য লুৎফর রহমান, সদস্য সাইফুল ইসলাম নিপুল, শাহজাহান আলী ও সোহেল সরকার।

বগুড়া জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট কেএম হুমায়ুন কবির জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপির সাবেক নেতা ও সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লা পক্ষে কাহালু বিএনপি ও ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীর কাজ করার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা মো. শোকরানার পক্ষে সারিয়াকান্দির ৭ নেতাকর্মীর কাজ করার অভিযোগ উঠে। এই অবস্থায় ১২ নেতাকর্মীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কাহালু উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কালাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জোবায়দুল ইসলাম সবুজ বলেন, তিনি জনপ্রতিনিধি। এ কারণে সবার সঙ্গে তার মিশতে হয়। বাজারে ডা. জিয়াউল হক মোল্লার সঙ্গে দেখা হলে সৌজন্যের খাতিরে কথা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের কেউ ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এর পরই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।