নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রার্থীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে, বিধি লঙ্ঘন হলে কঠোর ব্যবস্থা: সিইসি

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী সার্কিট হাউসে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিইসি বলেন, ‘কোথাও যদি আচরণবিধির লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা আশ্বাস রাখুন, নির্বাচন সুন্দর হবে।’

তিনি বলেন, ‘সবার প্রয়াসে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু স্বচ্ছতার বিষয়ে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। আপনাদের চেষ্টায়, আমাদের চেষ্টায়, প্রার্থীদের চেষ্টায় ও ভোটারদের চেষ্টায় নির্বাচনটা সফল হবেই। সভায় আমরা সবাই এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছি।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের  পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে চলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা আন্তরিক। কিছু সমস্যার কথা এসেছে। আমরা শুনেছি। স্থানীয় প্রশাসন কথা বলেছে। সেই সমস্যাগুলো কীভাবে নিরসন করা যায়, সেই গাইডলাইন আমরা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবে।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আশ্বাস রাখুন সবার প্রয়াসে নির্বাচন সফল হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

এর আগে, সকাল ১০টায় সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় প্রার্থীরা নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। সিইসি তাৎক্ষণিক এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরেক নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী বিভাগীয় কশিমনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে, দুপুর ১টার দিকে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা সভায় যোগ দেন সিইসি।