যাত্রীবেশে ট্রেনে আগুন: ছাত্রদল ও যুবদলের তিন নেতা গ্রেফতার

যাত্রীবেশে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি রেলস্টেশনে দুটি ট্রেনে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার মামলার আসামি ছাত্রদল ও যুবদলের তিন নেতা ধরা পড়েছেন। বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জয়পুরহাট ও আক্কেলপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ট্রেনে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাদের জয়পুরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ‘ক’ অঞ্চলে পাঠিয়ে পাঁচ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গ্রেফতার তিন আসামি হলেন জয়পুরহাট সদরের নিশির মোড় বনোমালীপাড়ার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে যুবদল নেতা তাইজুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার ওয়াদুদের ছেলে ছাত্রদল নেতা মো. অপু (২৪) এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে যুবদল নেতা মো. মোমিন (২৬)।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৪টার দিকে জয়পুরহাট স্টেশন ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন পাঁচবিবি স্টেশনে থামে। এ সময় যাত্রীবেশী যুবদল নেতা তাইজুল ইসলাম ও ছাত্রদল নেতা অপু ট্রেনের বগিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে নেমে যায়। যাত্রী ও রেল পুলিশ দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন ও যাত্রীরা রক্ষা পান। তবে বগির ক্ষয়ক্ষতি হয়। আগুন দেওয়ার জন্য তারা জয়পুরহাট স্টেশন ট্রেনে থেকে উঠেছিলেন। পরদিন এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।

এ ছাড়া গত ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্বতীপুরগামী উত্তরা মেইল ট্রেন জয়পুরহাট রেলস্টেশনে ঢুকছিল। স্টেশনে পৌঁছার আগেই যাত্রীবেশী যুবদল নেতা মোমিন ও অন্যরা ট্রেনে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান। আগুনে বগির কয়েকটি আসন পুড়ে যায়। জয়পুরহাট স্টেশনে ফায়ার সার্ভিস ও স্টেশনের কর্মচারীরা আগুন নিভিয়ে ফেলে। পরদিন সান্তাহার রেলওয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।

ওসি মোক্তার হোসেন জানান, শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জয়পুরহাট থেকে যুবদল ও ছাত্রদল নেতা তাইজুল ইসলাম ও অপুকে এবং আক্কেলপুর থেকে যুবদল নেতা মোমিনকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে তারা চলমান আন্দোলনে দলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে যাত্রীবেশে ট্রেনে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়ে জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।