‘নির্বাচিত হলে সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ ও ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে তুলে ধরবো’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন মো. ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ। ভোট সামনে রেখে গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি গ্রামে। করছেন পথসভা ও উঠান বৈঠক। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সুশিক্ষিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এই তরুণ রাজনীতিক ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। ২০২০ সালে এই আসনে উপনির্বাচনে ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে এমপি নির্বাচিত হলে নিজ এলাকায় ১০টি উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এরপর আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব ইনটেগ্রেটিভ মেডিসিন থেকে সিএইচএন ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তরুণ এই রাজনীতিকের প্রথম লক্ষ্য তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নির্বাচনি এলাকার মানুষের জন্য শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের পরিবেশ তৈরি করা। তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং ইএস গ্রুপের চেয়ারম্যান।

নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ

ইয়াসির রহমতুল্লাহর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে নানাভাবে উজ্জীবিত করছেন এই প্রার্থী। পাশাপাশি নির্বাচিত হলে নিজ এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের পাশাপাশি বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে জাতির কল্যাণে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের।

ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজের ১০ প্রতিশ্রুতি

১. এমপি নির্বাচিত হলে সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ ও ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে তুলে ধরা।

২. তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের পরিবেশ তৈরি।

৩. সব শ্রেণিপেশার মানুষের মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা এবং ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা। 

৪. অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি নিশ্চিতকরণ।

৫. মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

৬. রাজনীতিকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ও শ্রদ্ধার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। 

৭. দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া।

৮. প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা।

৯. বিপদে-আপদে এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ানো।

১০. নির্বাচনি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ।

ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজের ১০ প্রতিশ্রুতি

ভোট নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ বলেন, ‘আমার সবটুক মেধা ও শ্রম দিয়ে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে চাই। অর্থনৈতিক মুক্তি, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত শ্রদ্ধার রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আমি ভূমিকা রাখতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সচেতন তরুণ প্রজন্মের ভাইবোনেদের সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। কেবলমাত্র মানুষের কল্যাণে সব ধরনের উদ্যোগ নিতে চাই। এজন্য দরকার আমার ভোটারদের সহযোগিতা। আসুন সবাই মিলে শস্যভান্ডার বগুড়া-১ আসনকে সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে গড়ে তুলি।’

ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ বলেন, ‘দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালে হয়েছে একতরফা নির্বাচন আর ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়েছে রাতে, এমন ভয়াবহ অভিযোগও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ অনেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। চলমান এই আন্দোলনের মধ্যেই সরকার নির্বাচন করেছে। একদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দল দিচ্ছে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি অন্যদিকে আওয়ামী লীগে চলছে নির্বাচনি প্রচারণা। এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে আমি মনে করি, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এখন সময়ের প্রধান দাবি।’

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সুশিক্ষিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এই তরুণ রাজনীতিক ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন

‘সেই দাবি আদায়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’ বলে উল্লেখ করেন ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ। তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটাররা একদিকে কেন্দ্রে যেতে যেমন ভয় পাচ্ছেন অন্যদিকে শঙ্কিত এই ভেবে যে, তাদের ভোট কী আগেই দেওয়া হয়ে গেছে কিনা অতীতের মতো। তবে আমরা আমাদের মত করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের বুঝাচ্ছি নির্ভয়ে তারা যেন কেন্দ্রে যান এবং পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য ভোট দেন। সেইসঙ্গে শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অপেক্ষা করে ফল নিয়ে বাড়ি ফেরেন।’