নিখোঁজের চার দিনের মাথায় চাচার বাড়ি থেকে শিশুশিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

বগুড়ার শিবগঞ্জে নিখোঁজ কেজি স্কুলের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী হালিমা খাতুনকে (৭) হত্যা করা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানা পুলিশ চার দিনের মাথায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের লস্করপুর মধ্যপাড়ায় চাচার বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচা-চাচি ও চাচাতো ভাইকে আটক করা হয়েছে। সন্ধ্যায় থানার ওসি আবদুর রউফ এ তথ্য দিয়েছেন।

আটককৃতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের লস্করপুর মধ্যপাড়ার মৃত কসিম উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী রাহেনা বেগম (৩৫) ও তাদের ছেলে আতিকুল ইসলাম (১৬)।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, শিশু হালিমা খাতুন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের লস্করপুর মধ্যপাড়ার চা-দোকানি হাবলু মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় কেজি স্কুলে প্লে শ্রেণিতে পড়ত। হালিমা গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর বাড়ির সামনে থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামের বাড়িঘরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশকে জানালে রবিবার (২১ জানুয়ারি) গ্রামের তিনটি পুকুরে ডুবুরি নামিয়েও শিশুটির সন্ধান মেলেনি।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশ সোমবার বিকালে আপন চাচা আনিসুর রহমানের শয়নকক্ষে তল্লাশি করে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনিসুর রহমান, তার স্ত্রী রাহেনা বেগম ও ছেলে আতিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান, শিশুটির বাবা হাবলু মিয়ার সঙ্গে বড় ভাই আনিসুর রহমানের কোনও বিরোধ ছিল না। নিখোঁজ হওয়ার পর তিনিও অন্যদের সঙ্গে খোঁজাখুঁজি করেন। এমনকি তিনি (আনিসুর) রবিবার ডুবুরিদের সঙ্গে গ্রামের তিনটি পুকুরে নেমেছিলেন।

শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ ও মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আশিক ইকবাল জানান, সোমবার বিকালে নিখোঁজ শিশু হালিমা খাতুনের চাচা আনিসুর রহমানের শয়নকক্ষে তল্লাশি করা হয়। একপর্যায়ে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।