গোখাদ্যে রঙ মিশিয়ে গুঁড়ো হলুদ-মরিচ তৈরি

বগুড়া শহরের রাজা বাজারে আবারও মুন্সি হলুদ মিলে গোখাদ্যের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে গুঁড়ো মরিচ ও হলুদ তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৪ মার্চ) বিকালে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেবেকা সুলতানা ডলির ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেছেন।

সেখান থেকে ১০ বস্তা পশুখাদ্য, পাঁচ বস্তা গুঁড়া মরিচ, ছয় বস্তা গুঁড়ো হলুদ ও পোকা খাওয়া ১৩ বস্তা শুকনা মরিচ জব্দ করা হয়েছে। অভিযান টের পেয়ে মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যান।

অভিযোগ উঠেছে, আদালতের সঙ্গে বাজারের লোকজন থাকায় অভিযানের তথ্য আগেই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব অপরাধে জড়িতরা ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

আদালত ও বাজার সূত্র জানায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বাজার মনিটরিং করতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেবেকা সুলতানা ডলির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রবিবার বিকালে শহরের রাজা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মুন্সি হলুদ মিলে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মসলা তৈরি করতে দেখা যায়। সেখানে গোখাদ্যে রঙ মিশিয়ে গুঁড়ো হলুদ ও মরিচ তৈরি করা হচ্ছিল। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। মিল থেকে ১০ বস্তা পশুখাদ্য, পাঁচ বস্তা গুঁড়ো মরিচ, ছয় বস্তা গুঁড়ো হলুদ ও পোকা খাওয়া ১৩ বস্তা শুকনা মরিচ জব্দ করা হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, গত বছরও এ মিলে অভিযান চালানো হয়েছিল। তখন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হলুদ ও মরিচের গুঁড়ো তৈরির অপরাধে মালিককে জরিমানা এবং সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি অধিক লাভের আশায় একইভাবে গুঁড়ো মরিচ এবং হলুদ তৈরি ও বিক্রি করে আসছিল। এ কারণে আদালত মিলটি সিলগালা করেছেন।

অভিযানের সময় আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিক ও শ্রমিকরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযানে পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে সমিতির নেতৃবৃন্দকে দেখা যায়। এ কারণে অভিযানের তথ্য আগেই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ফলে অপরাধীরা বারবার অপরাধ করেও বেঁচে যাচ্ছেন।