ঋণ দেওয়ার নামে ১৬০ জনের ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গরু মোটাতাজা করার ঋণ দেওয়ার নামে ১৪ লাখ টাকা সঞ্চয় নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হাঁটুয়া, আলাইপুর ও গুন্দইল গ্রামের ভুক্তভোগী ১৬০ জন এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি; তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে গরু মোটাতাজা করার জন্য জনপ্রতি এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবদুর রউফ, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ও কুন্দারহাটের রাজু আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৬০ জনের কাছে সঞ্চয় বাবদ ছয় থেকে নয় হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা তোলেন।

সঞ্চয়ের টাকা জমা দেওয়ার পর ৯ মাস অতিবাহিত হলেও তাদের ঋণ দেওয়া হয়নি। তাদের বার বার তারিখ দেওয়া হয়েছে। অবশেষে ভুক্তভোগীরা তাদের সঞ্চয়ের টাকাগুলো ফেরত চান। টাকা ফেরত না দেওয়ায় তারা গত ২০ মে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরদিন তারা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিসের সামনে অবস্থান নেন। পরে থানা পুলিশ তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিদায় করে।

নন্দীগ্রাম উপজেলার গুন্দইল গ্রামের সদস্য জুঁথি রানী বলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কুন্দারহাটের রাজুর কাছে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিতে বলেছিলেন। তাই তারা বিশ্বাস করে ১৪ লাখ টাকা তুলে রাজুকে দিয়েছেন। এখন তারা ঋণ ও সঞ্চয়ের টাকা কোনোটাই পাচ্ছেন না। তিনি অবিলম্বে তাদের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত দিতে সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবদুর রউফ দাবি করেন, গরু মোটাতাজা করার ঋণ দেওয়ার নামে কারও কাছে কোনও টাকা নেননি। রাজু নামে এক ব্যক্তি তার অফিসের নাম ভেঙে ওইসব ব্যক্তির কাছে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া রাজুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।