রায়গঞ্জে পরাজিত ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা

সিরাজগঞ্জসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্যের নেতৃত্বে পরাজিত সদস্যের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মারপিটে অন্তত ১০ জন আহত হন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়নের জলাগাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে। 
পরাজিত সদস্য প্রার্থী শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও হিংসাত্বকভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইউপি সদস্য বেড়াবাজুয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে বাধা দেওয়া তাদের মারপিটে আমিসহ ৮/১০ জন গুরুতর আহত হয়েছি। হামলার সময় আমির হোসেন শেখ ওরফে গেদা নামে আমার এক সমর্থককেও তারা তুলে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস ঘটনাস্থল থেকে মোবাইলে জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং ৫/৬ জনকে মারপিট করেছে। হামলার সময় প্রতিপক্ষরা আমির হোসেন শেখ ওরফে গেদা নামে একজনকে তুলে নিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। ওই এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিজয়ী প্রার্থীর চাচাতো ভাই কোরবান আলী এবং দুই ভাগ্নে বিপ্লব ও ফারুককে আটক করা হয়েছে।

এদিকে, একই উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য সরোয়ার হোসেনের দেওয়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালানোর প্রতিবাদ করায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারপিট করা হয়েছে বলে এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়নের আকড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা ও আকড়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুন নবী রাজু অভিযোগ করে বলেন, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেনের দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে সকালে রায়গঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চান মিয়া দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের নামে স্থানীয় আব্দুল লতিফের বাড়িতে অভিযান চালান। আব্দুল লতিফের অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে কেন অভিযান চালানো হচ্ছে এমন কথা বলার পরই উপ-পরিদর্শক আমার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে কিলঘুষি ও চড়-থাপ্পড় দেওয়ায় ঠোঁট কেটে যায়। অভিযানের সময় পুলিশ কোনও দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করতে পারেনি।

বিষয়টি জানতে ফোন করা হলে উপ-পরিদর্শক চাদ আলীর মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, শুনেছি ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। মারপিটের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

 

/বিটি/