রাজশাহীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একপক্ষের মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে থানায় পৃথকভাবে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সংসদ সদস্যের ভয়ে একপক্ষের মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

রাজশাহী

জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকসেদ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক মিজানুর রহমান ও দুর্গাপুর থানা (এসআই) আব্দুস সালাম আজাদ বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। এই তিনটি মামলায় ৩৯জন নামধারীসহ অজ্ঞাত তিন শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মজিদ সরদারের নাম রয়েছে। অধিকাংশ আসামিই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

এই তিন মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন, উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন এলাকার সুখানদীঘি গ্রামের আফজাল হোসেন (৩৭), একই গ্রামের আনিছুর রহমান (৩৩) বহ্মপুর গ্রামের ময়েন উদ্দিন (৩২) গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মজিদ সরদার বলেন, বিএনপি-জামায়াত মাঠে নেই এই সুযোগ নিয়ে নিজেরা শক্তি প্রদর্শণ করছি। এটা অনেকটা লজ্জার বিষয়। ওর (সাংসদ) রাগ আমার জেলার পদ নিয়ে। আমি সংগঠনিকভাবে কাজ করবো। আর (সাংসদ) উনি এলাকার উন্নয়ন করবেন। গম-চাল খাবেন। তা না করে তিনি পুলিশকে ব্যবহার করছেন। আরে পুলিশ কারো না। জনগনই সব। তাইতো এমপির ভয়ে থানা আমাদের মামলা নেয়নি। ঠিক আছে থানা মামলা নেয়নি। সোমবার আদালতে গিয়ে আমরা মামলা করব।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, দুর্গাপুর থানায় পৃথক ৩টি মামলা করা হয়েছে। মামলার  পর তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এমপির ভয়ে আপনি মজিদ সরদারদের মামলা নেননি। এ ব্যাপারে ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, তারা মিথ্যা কথা বলেছেন। আমাদের কাছে তাদের পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তি মামলা করতে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। নির্দিষ্ট সময় পরপর পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, দুর্গাপুরের এই ঘটনা এক কথায় দুঃখজনক। তাই শিগগিরিই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গ, রাজশাহীর দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। শনিবার বিকালে উপজেলার ৭ নম্বর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

/এনএস/

/আপ: এইচকে/