নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা নেই : লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক

লালমনিরহাটঅনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারচুপির কোনও আশঙ্কা নেই বলে প্রার্থীদের অভয় দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চত্বরের জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সম্মেলন কক্ষে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন বিষয়ে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীরা সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করলে জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান ও পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক ভোটে কারচুপি ও কেন্দ্র দখল হবে না বলে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দেন। একইসঙ্গে সকল প্রার্থীকেই নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।ৎ
পাটগ্রাম নির্বাহী কর্মকর্তা নুর কুতুবুল আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম, পাটগ্রাম উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) টিএম মোমিন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাব উজ্জামান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের আব্দুল করিম প্রধান, একই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের আবুল হাসেম, জগতবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নবিবর রহমান, একই ইউনিয়নের ধানের শীষ প্রতীকের মোখলেছুর রহমান, পাটগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পাটগ্রাম উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিলুপ্ত ছিটমহলের ভোটার তালিকা হালনাগাত কার্যক্রম চলার কারণে নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত ছিল। আগামী ৩১ অক্টোবর এসব ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে হাইকোর্টে এক রীট পিটিশনের কারণে বাউরা ইউনিয়নের নির্বাচনি কার্যক্রম আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের সাথে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার একই ধরনের আরো একটি মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন। ৩১ অক্টোবর এ ইউনিয়নের এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

/এইচকে/