সূত্র জানায়, উপজেলার ১ নম্বর কামারপুকুর ইউনিয়নের আলোকদিপাড়া গ্রামের নবিউল ইসলামের মেয়ের (১২) সঙ্গে রংপুরের তারাগঞ্জের রাজমিস্ত্রী লুৎফর রহমানের বিয়ে ঠিক করা হয়। বাল্য বিয়ের কথা জানতে পেরে ওই ছাত্রী তাৎক্ষণিক বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারকে জানায়। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আফজাল বিন নাজির সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি সৈয়দপুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। পরে ইউএনও নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
কিন্তু ওই দিন গভীর রাতে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই মেয়েকে পাশের তারাগঞ্জ উপজেলায় এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দেন তার বাবা। পরদিন বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় এসে প্রথমে ঘটনাটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরে তার সহপাঠীদের খুলে বলে। পরবর্তীতে ওই বাল্যবিয়ের ঘটনার প্রতিবাদে বাল্যবিয়ের শিকার ছাত্রীসহ তার মাদরাসার সহপাঠীরা দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে ঘেরাও করে ইউএনও বরাবরে স্মারকলিপি দেয়।
তখন ইউএনও আবু ছালেহ মো. মুসা ওই ছাত্রীর বাবাকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ফিরে যায়। এরপর ইউএনও ওই ছাত্রীর বাবাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সৈয়দপুর থানা ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে মেয়ের বাবাকে গ্রেফতার করে সাজা দেওয়া হয়।
/এমও/