অধিগ্রহণ করা জমি সাঁওতালদের ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই: ডেপুটি স্পিকার

Rabbi1433926330অধিগ্রহণ করা জমি কাগজ কলমে সাঁওতালদের ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেন, ‘রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ বাজার মূল্যে টাকা দিয়ে ১৯৫৫-৫৬ সালে স্থানীয় সাঁওতাল ও মুসলমানদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করেছে। মিল কর্তৃপক্ষ দলিলের পর তাদের কাছ থেকে জমি বুঝে নিয়ে সেই জমিতে আখ চাষ করে। কিন্তু ৭০ বছর পর সেই জমি কিভাবে নিজেদের দাবি করে ফেরত চায় সাঁওতালরা।’

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের মহিমাগঞ্জ ক্যান-ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার অ্যাভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘১৯৫৫-৫৬ সালে মিল কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের সময় সাঁওতালদের জমি ছিল ৪ থেকে ৫ শতাংশ। আর বাকি জমি ছিল এলাকার মুসলমানদের।’  তিনি আরও বলেন, ‘সাঁওতালরা যদি কাগজে কলমে দেখাতে পারে এই জমি তাদের, তাহলে অবশ্যই তারা জমি ফেরৎ পাবে।’

এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সম্পদ গ্রাস করতে ক্ষমতায় আসেনি, জনগণকে সম্পদ করে দিতে এসেছে। তাই জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে বিভ্রান্ত ছড়াবেন না। এই মিলে হাজার হাজার লোক চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। মিথ্যা খবর প্রকাশ করে সেটি নষ্ট করবেন না’।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা সাঁওতালদের উষ্কানিদাতাদের খুঁজে বের করুন। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করুন। এছাড়া সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ করুন। সরকার আপনাদের পাশে আছে’।

এক সময় তিনি নিজেও রংপুর সুগার মিল মহিমাগঞ্জের লিগ্যান অ্যাডভাইজার ছিলেন বলে উল্লেখ করেন এবং তখন থেকেই তিনি চিনিকলের অধিগ্রহণ জমি সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান।

অনুষ্ঠানে রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল আউয়াল সভাপতিত্ব করেন।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও  বিএসএফআইসি ঢাকার পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবর রহমান। 

উল্লেখ্য, রংপুর চিনিকলের আওতায় ২০১৬-২০১৭ আখ মাড়াই মৌসুমে ৬০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৯০০ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ভাগ। এবারে ৪৫ দিন আখ মাড়াইয়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে চলতি মৌসুমে চিনিকল অঞ্চলে ৪ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। এতে ৮১ হাজার টন আখ উৎপাদিত হবে বলে আশা করছেন চিনিকল কর্তৃপক্ষ।

/এমডিপি/