‘লিটন হত্যার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে, খুনিদের গ্রেফতার শিগগিরই’

রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুখরংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুখ বলেছেন, ‘গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। শিগগিরই খুনিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’

সোমবার দুপুরে ডিআইজি তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিআইজি বলেন, ‘এমপি লিটন হত্যার ঘটনা সব বিষয়ে আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি সুন্দরগঞ্জে জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে একটা সংগ্রাম করে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেছিলেন। সে কারণে হত্যাকাণ্ডে জামায়াত শিবিরের সংপৃক্ততা ছাড়াও এ অঞ্চলের জঙ্গিদের যে উৎপাত ছিল তাও আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইন্টারনাল কোনও বিষয় আছে কিনা তা নিয়েও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’

ডিআইজি আরও বলেন, ‘এই আলোচিত মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাকে সহায়তা করার জন্য রংপুর বিভাগের বেশ কয়েকজন চৌকস পুলিশ কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই মিলে কাজ করছেন। শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং খুনিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’

ডিআইজি গোলাম ফারুখ বলেন, ‘নিহত এমপি লিটনের শরীর থেকে বের করা বুলেট পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও যে আলামত পাওয়া গেছে সেটাও ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কিলারদের ফেলে যাওয়া ক্যাপটি নিয়ে কাজ চলছে। ক্যাপটি যে খুনি ব্যবহার করেছিল তার মাথার ঘাম ও চুল বা অন্য কিছু থাকলে এ ব্যাপারে ডিএনএ টেস্ট করে তা সংরক্ষণ করা হবে। পরবর্তীতে সন্দেহভাজন খুনিদের গ্রেফতার করার পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তা মিলিয়ে দেখা হবে।’

সবশেষে ডিআইজি বলেন, ‘গণমাধ্যমে এসেছে খুনিরা যে গুলি ব্যবহার করেছে তা ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা এবং জঙ্গিদের আস্তানায় পাওয়া গুলির সঙ্গে মিল আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে যে অস্ত্রের গুলি পাওয়া গেছে ওই অস্ত্র আগে চেক প্রজাতন্ত্র তৈরি করতো এখন ওই অস্ত্র পাকিস্তানেও তৈরি হয়, ফলে কোথাকার অস্ত্র তা আপাতত বলা সম্ভব নয়।’

/এআর/