১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শরণার্থীরা কালিগঞ্জ এসে পৌঁছান। এসময় পাশের এলাকা ডোমার থেকে পাকিস্তানি সেনারা এসে শরণার্থীদের ওপর গণহত্যা চালায়। ওই স্থানে পরে একটি বধ্যভূমি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু জলঢাকা গণহত্যা দিবসে অবহেলা-অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা গেছে সেই বধ্যভূমিটি।
মুক্তিযুদ্ধের ওই দিনের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করে ভবেন শীল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ আমাদের আর কেউ খোঁজ-খবর রাখে না। শুধু জাতীয় দিনগুলো এলে বধ্যভূমিতে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাকি দিনগুলোতে ময়লা-আর্বজনায় ভর্তি হয়ে থাকে এই জায়গা। এই বছর তো কিছুই হলো না।’
জলঢাকা গণহত্যার সময়ে গুলিবিদ্ধ হওয়া আহত অমরকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও আমরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাইনি। ওই দিন উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়ন থেকে আমরা ৩শ’ পরিবার ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হই। দুপুরে আমাদের পথ আটকিয়ে ডোমার থেকে আসা পাকিস্তানি সেনারা ধরে নিয়ে গিয়ে বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যানেলের ওপর তিন সারিতে দাঁড় করিয়ে গুলি চালায়। গুলি আমার উরুতে লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। ভগবানের কৃপায় বেঁচে গেছিলাম।’
জলঢাকার গণহত্যা দিবস প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘সেদিনের গণহত্যায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। দিনটি এভাবে নিরবে-নিভৃতে চলে যাওয়ায় আমি দুঃখিত।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তাছাড়া দলীয় কোনও নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকেও আমাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি।’
/টিআর/এসএ/