কুড়িগ্রামে আবারও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

কুড়িগ্রাম

গত দুই দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ কুড়িগ্রামের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছী ইউনিয়ন, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নসহ নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর মানুষ আবারও বন্যার হুমকিতে পড়েছে।

সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম ফেরি ঘাট পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করলেও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করবে।

জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১১০.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান,‘তার ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও এখনও কোনও ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকেনি। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোনও মুহূর্তে আবারও বন্যা দেখা দিতে পারে।

এদিকে উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় অবস্থিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। এখনও কোনও ঘরবাড়িতে পানি উঠেনি। তবে সদ্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রোপা আমন ক্ষেতে কৃষকরা আবার ধানের চারা লাগিয়েছে, সে সব ক্ষেত আবার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সব কটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও আগামী ২৪ ঘণ্টা পর নদ-নদীর পানি আবারও কমতে থাকবে। ফলে এই মুহূর্তে আর কোনও বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়তে পারেন: টাঙ্গাইলে জেএমবির সদস্য দুই ভাইয়ের অস্ত্র সরবরাহকারী আটক