উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারী পৌরসভাউন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে নীলফামারী পৌরসভা। সেইসঙ্গে বদলে গেছে পৌরবাসীর জীবনমান। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভাটি ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করে। ২০১২ সালে ‘দ্বিতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতি করণ’ (সেক্টর) প্রকল্পের আওতায় পৌরবাসীর জীবনমানসহ পৌর এলাকার পুরো চিত্র পাল্টে গেছে।

নীলফামারীর পৌরপিতা দেওয়ান কামাল আহমেদের নিরলস প্রচেষ্টায় হাট-বাজারের কর, দোকান ঘর ভাড়া, গবাদি পশুর হাট ইজারা, অফিস আদালতের পৌরকর, পাবলিক হোল্ডিং কর দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে এই পৌরসভা। আগে পৌরবাসী হোল্ডিং কর, পানির বিল, দোকান ঘরের ভাড়া দিতো না। তবে এখন ঠিকমতো সব বিলই দিচ্ছেন পৌরবাসী।

স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ এর ১৪ ধারা মোতাবেক পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পৌরবাসীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে ওয়ার্ড পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি ও ৫০ সদস্য বিশিষ্ট শহর সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফলে পৌরসভার কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বেড়েছে।

Dustben-Pic-Nil

প্রকল্প ও আরবান গভর্ন্যান্স ইনফ্রাকস্ট্রাচার ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (ইউজিআইআই)-২ প্রকল্পের তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতি করণ (সেক্টর) প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণের ফলে পৌরসভার আয় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপরদিকে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে উন্নত সড়ক যোগাযোগ, উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অলিতে-গলিতে সড়ক বাতিসহ  বিভিন্ন বিষয়ের উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক স্টিলের ডাস্টবিন। প্রতিদিন পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলার গাড়ি নিয়মিত ডাস্টবিনগুলো পরিষ্কার করে।

এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবির) অর্থায়নে বেশ কয়েকটি প্রকল্প ছাড়াও ছোট বড় অসংখ্য প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পৌরবাসী খুবই আনন্দিত।

Nil-Super-Market-Pic

এ ছাড়া পৌরসভার নিজস্ব আয়ের শতকরা ৩ শতাংশ অর্থাৎ ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে পৌর এলাকার গত শীতে ৭২৫ জন হতদরিদ্র নারীদের শীতবস্ত্র ১৫ জনকে সেলাই মেশিন ও সেলাই প্রশিক্ষণ, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম, ফরম ফিলাপসহ আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র ব্যক্তিদের ভ্যান গাড়ি, রিকশা, চিকিৎসা সেবা ও অসহায় বিবাহযোগ্য মেয়েদের বিয়ে, বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামীতে এ খাতে আরও ব্যয় বৃদ্ধি করা হবে। ইউজিআইআইপি-প্রকল্প ৩ এর ৩২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ড্রেনেজসহ অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ চলছে।’