পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি, ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট

গাইবান্ধা জেলাগাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় শাহারুল আলম নামে পুলিশের এক কর্মকর্তার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। এ সময় প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। শাহারুল আলম (সিআইডি) রংপুরে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে তার বাড়িতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাহিদ মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

শাহারুল আলমের ছেলে সাকিব জানান, ঘটনার দিন রাতে শুধু তিনি আর তার এক ভাই ছিলেন বাসায়। তাদের বাবা-মা ছিলেন ঢাকায়। রাত আড়াইটার দিকে ৮-১০ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল বাসার প্রাচীর টপকে বাসায় ঢোকে। এরপর তারা লোহার শাবল দিয়ে বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তাদের দুজনকে হাত-মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা। এরপর ডাকাতরা তিনটি রুমে থাকা স্টিলের আলমারি ও অন্যান্য আসবাব ভেঙে সাত ভরি স্বর্ণ, ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ ঘরের মূল্যবান মালামাল এবং একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এছাড়া ব্যাংকের কাগজপত্র,জমির দলিল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়।

সাকিব আরও জানান, ডাকাতদল প্রায় একঘণ্টা ধরে  বাসার ভেতর অবস্থান করে লুটপাট করে। মালামাল লুটের সময় ডাকাতরা তার বাবা কোথায় আছে তা বারবার জানতে চেয়ে হুমকি দিতে থাকে। এসময়  তার বাবা  ঢাকায় আছে জানালে বাসা থেকে চলে যায় ডাকাতরা।

শাহারুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডাকাতরা আমার বাসার প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। আমি বাসায় থাকলে হয়তো আমাকে হত্যা করতো তারা। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের সঙ্গে আমার বিরোধ চলছিল। ডাকাত দলের সঙ্গে স্থানীয়রা জড়িত থাকতে পারে বলে আমার ধারণা।’

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন অজুহাতে অনেকদিন ধরে তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল স্থানীয় বখাটে যুবকরা। বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনেও হুমকিসহ চাঁদা দাবি করতো তারা। সম্প্রতি হুমকির ঘটনায় তিনি সাদুল্যাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহিদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।