শীতবস্ত্র ও খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন পঞ্চগড়ে

শীতের প্রকোপঘন কুয়াশা ও উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র শীত ও শীতের কবল থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের অভাবে শ্রমজীবী মানুষেরা কাজে যেতে পারছেন না। শীতে পর্যুদস্ত এই মানুষগুলো ঘরে বন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। অসহায় এই মানুষদের জন্য শীতবস্ত্রের পাশাপাশি খাদ্য সহায়তাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি )পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে গোটা জেলা এখনও কুয়াশার চাদরে মোড়া। সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান শৈত্যপ্রবাহকে এখানকার মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখছেন। আর দুঃস্থ অসহায় মানুষ শীতের এই তীব্রতাকে দেখছেন অভিশাপ হিসেবে।

শীতের প্রকোপে গ্রাম ও শহর সব এলাকার মানুষ বিপাকে পড়েছেন। শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা রাত গভীর হতেই অকেজো হয়ে পড়ছে। অব্যাহত ঠাণ্ডায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। আক্রান্ত এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে জেলার ৫ উপজেলা ও ৪৩টি ইউনিয়নে একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।শীতের প্রকোপ

এ পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলায় ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত শীতার্ত মানুষ কম্বল পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পঞ্চগড়ে ১৭টি বস্তি রয়েছে। এসব বস্তির প্রায় ১৫ হাজার মানুষ কম্বল পাওয়ার যোগ্য।  দেড়-দুই মাস আগে পৌর এলাকায় সরকারিভাবে ৩৭৫টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা খুবই নগণ্য। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় এখানকার মানুষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ বিত্তবানদের বাড়িতে ভিড় করছেন।’