পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, দুই বন্ধু জেলহাজতে

আল রাফিউর রাফি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় আল রাফিউর রাফি (১৯) নামে অনার্স ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ দুই বন্ধু উপজেলা সদরের ইব্রাহীম হোসেন রনি (১৯) ও মুন্সিপাড়ার শরিফ খান পুলক ওরফে আরাফাতকে (১৯) আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
রাফির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাফি দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং সে সৈয়দপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে দুই বন্ধু রনি ও পুলককে নিয়ে নৌকায় করে করতোয়া নদীর ময়নামতির চরে বেড়াতে যায় রাফি । সন্ধ্যায় নৌকা না পেয়ে হেঁটেই ফিরছিল তিন বন্ধু। ফেরার পথে হঠাৎ গভীর পানিতে তলিয়ে রায় রাফি। এ সময় বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার পথে রাফির মৃত্যু হয়। দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু সায়েম এ তথ্য জানান।
এদিকে রাফির পরিবার দাবি, মঙ্গলবার বিকালে রাফিকে তার বন্ধু রনি ও পুলক উপজেলা সদরের করতোয়া নদীর ময়নামতির চরে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করার পর সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ইউডি মামলা দায়ের করে।
নিহতের চাচা মনিরুল ইসলামের দাবি, টাকা অথবা অন্য কোনও কারণে রাফির সঙ্গে তার দুই বন্ধুর ঝগড়া বা দ্বন্দ্ব হয়েছিল। সেখানে তারা রাফিকে বালুতে চেপে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কলেজছাত্র রাফির লাশের প্রাথমিক সুরতহালে আঘাত বা ক্ষতের কোনও চিহ্ন ছিল না। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সন্দেহজনক হিসেবে তার দুই বন্ধুকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’