সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে আমগাছ তিনটি কাটা শুরু করে গাছ ব্যবসায়ী এনামুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও আসাদ আলী। তারা নিজেদের স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের লোক বলে দাবি করেন। সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান গাছ কাটা বন্ধ করতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরীকে অবহিত করেন। চেয়ারম্যান গাছ কেটে উপজেলা পরিষদে রেখে দিতে বলেন। বিকালে আবারও গাছ কাটা শুরু হয়।
টেন্ডার ও অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিক সামিউল আলম ছবি তুলতে যান। এ সময় যারা গাছ কাটছিল তারা তাকে আটক করে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে হেনস্তা করে। পরে ক্যামেরা থেকে ছবি ডিলিট করে দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য একরামুল হক জানান, গাছগুলো রাস্তার পাশে হওয়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ কাটার জন্য চিঠি দেয়। সেই মোতাবেক গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখনও কোনও টেন্ডার কিংবা গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গাছগুলো কাটা হচ্ছে বিষয়টি তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরীকে জানিয়েছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান গাছগুলো কাটা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তাকে দেখা করতে বলেছেন।
তিনি জানান, অনুমতি বা টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ও বেআইনি।
সাংবাদিককে হেনস্তা করার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা এটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, গাছ কাটার কোনও নির্দেশ ও টেন্ডার হয়নি। যারা গাছ কাটছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে।
দিনাজপুর-৬ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বলেন, 'গাছ কাটার মৌখিক এই নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী। তবে তার কোনও লোক গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত নয়। যদি এ ধরনের ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'