হিলি বন্দর দিয়ে বেড়েছে পাথর আমদানি

stone-1দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পাথরের আমদানি বেড়েছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক কাজে পাথরের ভালো চাহিদা থাকায় এর আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ায় পাথরের দামও খানিকটা কমেছে। তবে পাথর সরবরাহে ট্রাক না পেয়ে খানিকটা বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে বর্তমানে ৩/৪, ৫/৮, ১/২ ইঞ্চি সাইজের পাথর আমদানি হচ্ছে। এর আগে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক করে পাথর আমদানি হতো। বর্তমানে বন্দর দিয়ে ৫৫ থেকে ৬০ ট্রাক করে পাথর আমদানি হচ্ছে। সে হিসেব অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে বন্দর দিয়ে ১হাজার ৫টি ট্রাকে ৫০ হাজার ৪৮০ টন পাথর আমদানি হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে পাথার আমদানি হয়েছে ১ হাজার ১শ ট্রাকে ৫৩ হাজার ৩০৭ টন, মার্চ মাসে ১ হাজার ১৩৫টি ট্রাকে ৫১ হাজার ৪৬২ টন, এপ্রিল মাসে ১ হাজার ২৯০টি ট্রাকে ৬০ হাজার ৪৫৬ টন পাথর আমদানি হয়েছে। আর চলতি মে মাসের ১-১৬ তারিখ পর্যন্ত ৬৬৮টি ট্রাকে ২৮ হাজার ৭৫৬ টন পাথর আমদানি হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো.হারুন উর রশীদ হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এসব কাজে প্রচুর পরিমাণে পাথরের চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় অফিস, বাসা স্থাপনের ঢালাইয়ের কাজেও প্রচুর পরিমাণে পাথর ব্যবহৃত হচ্ছে। এ কারণে দেশের বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাথরের চাদিদা তৈরি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব কারণে বন্দরের আমদানিকারকরা পাথরের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক করে পাথর আমদানি হতো এখন সেখানে ৫৫ থেকে ৬০ ট্রাক করে পাথর আমদানি হচ্ছে। ৩/৪, ৫/৮ সাইজের পাথর আগে ৩হাজার ৪৭০ থেকে ৩ হাজার ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪১০ টাকা টাকা দরে। এছাড়াও ১/২ সাইজের পাথর বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৫০ টাকা এখন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৯১০ টাকা টন দরে। তবে ট্রাক সংকটের কারণে খানিকটা আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যে ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে ভাড়া বেশি। এর কারণে দেশের অভ্যন্তরে পাথর সরবরাহে খানিকটা ব্যাঘাত ঘটছে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই পাথর আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পাথর আমদানি বাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনি সরকারও বন্দর থেকে বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহ করছে।’