দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত পঞ্চগড়ের ডিসি পার্ক, তালমা রাবার-ড্যাম এলাকায় হিমালয় বিনোদন স্পট, রকস মিউজিয়াম, করতোয়া নদীর পাড়, বিজিবি ক্যান্টিন, বাইপাস মহাসড়ক, বদেশ্বরী মন্দির, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বার আউলিয়ার মাজার, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট-ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মহানন্দা নদীর পাড়, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, পিকনিক কর্নার, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, আনন্দ ধারা, আনন্দ গ্রাম, শিশু পার্ক, মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়ার স্মৃতিসৌধ, ভিতরগড়ের পৃথু রাজার মহারাজার দিঘী, ভীমের জঙ্গল, বাংলার শ্রেষ্ঠ সুলতান হোসেন শাহের হোসেন দিঘীর গড়, মোগল সেনাপতি মীর জুমলার মীরগড়, ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির রাজনগড়।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিয়াজ আল শাহরিয়ার বলে, ‘শহরের বিভিন্ন স্পটে ঘুরতে বের হয়েছি বন্ধুরা মিলে। ঈদে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে ভালোই লাগে।’
ঢাকা থেকে আসা ঈদের দাদা বাড়িতে এসেছে সিনথিয়া মেহনাজ। সে জানায়, অনেক দিন পর তেঁতুলিয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরলাম। তেঁতুলিয়া বেড়ানোর জন্য খুব ভালো জায়গা।
মাজেদুল ইসলাম আকাশ নামে আরেক দর্শনার্থী জানান, বোদা শহরে তেমন বিনোদনের স্থান নেই। তবে ঈদের সময় বাইপাস মহাসড়কে মানুষের ঢল নামে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানিউল ফেরদৌস জানান, সরকারের ইনোভেশন কর্মসূচি ও পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে তেঁতুলিয়াকে সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পিকনিক কর্নারসহ বিভিন্ন এলাকায় পর্যটকদের বসার, শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কিছু কাজ করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন জানান, শুধু ঈদ নয়, বছরের সব সময়ই এখানে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। তবে ঈদের সময় স্থানীয়রাও এখানে সময় কাটান।