দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬০.২১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৯৭ জন

 

এইচএসসি ফল প্রকাশের পর আনন্দ করছে দিনাজপুরের হলিল্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাউচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ফল বিপর্যয় ঘটেছে। গত সাত বছরের তুলনায় এবার এই বোর্ডের পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা কম।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৭১ হাজার ৯৫১ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৯১ জন।

গত বছর এই পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৭৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৭১ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং ২০১২ সালে পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।

অপরদিকে এবার ২ হাজার ২৯১ জন জিপিএ-৫ পেলেও গত বছর জিপিএ-৫ পায় ২ হাজার ৯৮৭ জন। গত ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৯৮৭ জন। ২০১৬ সালে পেয়েছিল ৩ হাজার ৮৯৯ জন, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৩৯৫ জন, ২০১৪ সালে ৪ হাজার ৪৭৪ জন, ২০১৩ সালে ৩ হাজার ৪৩৩ জন এবং ২০১২ সালে পেয়েছিল ৫ হাজার ৯ জন।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হারে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্ররা এগিয়ে রয়েছে। ছাত্রীদের পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৫৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ জন ছাত্র এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫৩ জন ছাত্রী।

অপরদিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন ৬৫৩টি কলেজের মধ্যে ১২টি কলেজ থেকে এবার একজনও পাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- রংপুর সদর উপজেলার অক্সব্রাইড কলেজ, পীরগঞ্জ উপজেলার মহীয়সী বেগম রোকেয়া কলেজ, পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর কলেজ, বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর অরুন্নেসা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজ, লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার দুহুলী এসসি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, একই উপজেলার দক্ষিণ ঘনশ্যাম স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও আদিতমারী উপজেলার নামুরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, নীলফামারী সদর উপজেলার নাগর দারোয়ানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার রত্নাই বগুলাবাড়ি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, একই উপজেলার মোড়লহাট জনতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার উমানদা স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান জানান, এবার শুধু ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯ হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী। তাছাড়া ভালোভাবে খাতা দেখার ফলে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়নি। তাই অকৃতকার্যের সংখ্যা বেশি।

তিনি আরও জানান, ‘আমরা কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি চাই।’