এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুই আসামি দীপা ভৌমিক ও কামরুল ইসলামকে আদালতে নিয়ে এসে হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা সোয়া ২টার দিকে কড়া পুলিশের পাহারায় তাদের আদালতের পেছনের সিঁড়ি দিয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট সুশান্ত ভৌমিকের পক্ষে নির্মল চন্দ্র মাহাতা জানান, যেহেতু মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে সে কারণে দ্রুত মামলাটি বিচারের জন্য জেলা জজ আদালতে পাঠানোর আবেদন করছি। পরে বিচারক শুনানি শেষে মামলাটি বিচারের জন্য রংপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২ অক্টোবর।
পরে আবারও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দুই আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে আদালত থেকে বেরিয়ে বাবু সোনার আইনজীবী নির্মল চন্দ্র মাহাতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ মামলায় আসামি পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিল না। কেন তারা আইনজীবী নিয়োগ করেনি তা বলতে পারবো না। তবে আমরা আদালতে বলেছি চাঞ্চল্যকর মামলাটির দ্রুত বিচার শেষ হওয়া প্রয়োজন। সে কারণে ন্যায় বিচারের জন্য মামলাটি জেলা জজ আদালতে পাঠানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার বাদী নিহত আইনজীবীর ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’