র্যাব-১৩ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রতন মিনজিকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য সে মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছে।’
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ১৮ এপ্রিল মিঠাপুকুর উপজেলার খোদ্দ নুরপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এক তরুণী (এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে) প্রতিবেশী দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে নিয়ে পীরগাছা উপজেলার সোমনারায়ণপুর গ্রামে নিজের ভগ্নিপতির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রতন মিনজি (ছাত্রীদের পূর্ব পরিচিত) নামে এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তরুণ ফোনে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় তাদের দেখা করতে বলে। দুই ছাত্রী রতন মিনজির সঙ্গে সেখানে দেখা করতে গেলে সে ও তার সহযোগী হযরত ও মামুন তাদের দুজনকে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা প্রকাশ করা হলে তাদের হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দুই তরুণীর মধ্যে একজন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরদিন গলায় ফাঁসে নিয়ে আত্মহত্যা করে সে। আত্মহত্যার আগে সে রতন মিনজিকে অভিযুক্ত করে ‘সুইসাইড নোট’ লিখে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণের শিকার দশম শ্রেণির ছাত্রী পুরো ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় গত ২৩ এপ্রিল স্কুলছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় রতন মিনজিসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।’
এদিকে, এই মামলার অপর আসামি মামুনকে বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর নগরী থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। অপর আসামি হযরতকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আসামি মামুনের বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সোমনারায়ণপুর গ্রামে বলে জানায় পুলিশ।