‘চরের পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব’

চরে বাদাম চাষবাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম বলেছেন,  ‘তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর পরিত্যক্ত চরের জমিতে শুষ্ক মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে হাজার হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এজন্য সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে।’

শনিবার (১১ মে) রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষেত পরিদর্শন শেষে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘দেশের বেশিরভাগ নদীর চরাঞ্চল বালুময় হওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। অথচ বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর ৬ মাস সেখানে পানি থাকে না। চারদিকে শুধু বালু আর বালু। অথচ প্রায় এক লাখ হেক্টর জমিতে শুধু মিষ্টি কুমড়া চাষ করেই দেশের অর্থনীতির চাকা আরও সতেজ করা যায়। সেইসঙ্গে হাজার হাজার হতদরিদ্র পরিবার স্বনির্ভর হতে পারে।’

তিনি বলেন,  রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে শত শত হতদরিদ্র কৃষক মিষ্টি কুমড়া চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। তাদের সন্তানরা লেখাপড়া করছে। টিনের বদলে পাকা ঘর করেছে তারা। তবে কৃষকদের অভিযোগ, তারা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পান না। সেইসঙ্গে সেচ সুবিধা আর ভালো বীজ এবং ৬ মানের জন্য সামান্য টাকা দিলে এ অঞ্চলের দৃশ্যপট বদলে যাবে।

চরে ধান চাষকৃষি বিভাগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘চরাঞ্চলে সোনা ফলানো সম্ভব তা তারা জানেন না? সরকারকে এসব বিষয়ে তেমন অবহিত করেন বলে আমার মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চরাঞ্চলে মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কৃষকদের ইনসেনটিভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।’

সচিব বলেন, চেম্বার অব কর্মাস সহ বড় বড় উদ্যোক্তারা যদি এগিয়ে আসেন এবং কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তাহলে মালেয়শিয়া আর চীনে শুধু মিষ্টি কুমড়া রফতানি করে শত কোটি ডলার আয় করা সম্ভব।