শুল্ক বাড়ায় হিলি দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ

হিলি বন্দরে আসা ভারতীয় চালচাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ও ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চাল আমদানিতে ৫৫ ভাগ শুল্ক নির্ধারণ করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা কিছু চাল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে পারে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২২ মে) বিকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর-এর চেয়ারম্যান মোশারোফ হোসেন ভুইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাল আমদানিতে শুল্ক ২৮ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ ভাগ করার কথা জানানো হয়। এইদিনই বিষয়টি কার্যকর করা হয়। তবে এর আগে আমদানি করা চাল ২৮ ভাগ শুল্ক পরিশোধ করেই বন্দর থেকে ছাড় করিয়ে নিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মামুনুর রশীদ লেবু ও রাজীব দত্ত বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এর আগে দুই ভাগ শুল্ক থেকে বাড়িয়ে ২৮ ভাগ করার পর থেকেই বন্দর দিয়ে চালের আমদানি সীমিত পর্যায়ে নেমে এসেছিল। বন্দর দিয়ে রত্না বা স্বর্ণা জাতের চাল আমদানি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে দেশে সামান্য চাহিদা থাকায় শুধু শম্পা কাটারি বা নাজির শাইল চাল আমদানি হচ্ছিল। বিগত বছর ও এবারের চলতি বোরো মৌসুমে দেশে বোরোর বাম্পার ফলনের কারণে ও দাম কম হওয়ায় ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত অর্থবছরে চাল আমদানিতে শুল্ক কম থাকায় বন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণে চাল আমদানি হয়েছিল। এরপরে চলতি অর্থবছরে চাল আমদানিতে ২৮ ভাগ শুল্ক করার ফলে বন্দর দিয়ে গড়ে ১৫/২০ ট্রাক করে চাল আমদানি হচ্ছিল। এর ওপর আবারও চাল আমদানিতে শুল্ক ২৮ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ ভাগ করা হয়েছে। চাল আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ ভাগ বহাল রেখে রেগুলেটরি ডিউটি ৩ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ২৫ ভাগ করা হয়েছে এছাড়াও এর সঙ্গে বাড়তি হিসেবে অগ্রিম আয়কর ৫ ভাগ মিলিয়ে মোট ৫৫ ভাগ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনে এসে পৌঁছেছে এবং কাস্টমসের সার্ভারেও সেই নতুন আরোপ হওয়া শুল্ক সংযুক্ত করা হয়েছে।