খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫৫০ টাকা ও খাসির মাংস প্রতিকেজি ৬০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৪৫০, পাকিস্তানি কক মুরগি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন দোকানিরা। সে তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩০ টাকা দরে আবার কোথাও কোথাও ১৫০-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা গরু, খাসি ও দেশি মুরগির মাংস কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। তারা বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগির কাটা মাংস কিনে নিজেদের চাহিদা মেটাচ্ছেন।
জেলা শহরসহ জলঢাকা উপজেলার মিরগঞ্জ হাট, রামগঞ্জ হাট, টেংগনমারী হাট, কচুকাটা বাজার, দারোয়ানি বাজার, হাজিগঞ্জ বাজার ও জেলার ডোমার, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস বিক্রির মতো একাধিক স্থানে কাঠের চৌকিতে বসে ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগি কেটে বিক্রি করছেন। কোনও কোনও বাজারে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবার কোথাও বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এ মাংস বিক্রি।
নীলফামারী পৌর শহরের নিউবাবুপাড়া মহল্লার ব্রয়লার মুরগির আড়তদার মুহিবার রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন খামার থেকে ১২০-১৩০ টাকা দরে মুরগি আড়তে নিয়ে আসি। তারপর খুচরা পাইকাররা এখান থেকে কিনে নিয়ে মাংস কেটে বিক্রি করে। এতে গরিব মানুষ অল্পদামে কিনে খেতে পারছে।
জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের চাঁদেরহাটে মুরগির কাটা মাংস কিনতে আসা জাহেদা বেগম বলেন, ‘ভ্যানচালক স্বামীর রোজগারে পাঁচ সদস্যের পরিবারের যাবতীয় খরচ চলে। শত ইচ্ছা থাকলেও একটি পুরো ব্রয়লার বা পাকিস্তানি মুরগি কেনার টাকা হয় না। ব্রয়লার মুরগি কেটে বিক্রি করায় আমাদের সুবিধা হয়েছে, অন্তত মাংস তো খেতে পারি।’