ছাত্রলীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ, আটক ৪

লালমনিরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্যের পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। হাতীবান্ধা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে বুধবার (১২ জুন) এ মারামারির ঘটনা ঘটে। হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বাঁধন ও একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতিয়ার রহমানের পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তবে কোনও পক্ষই এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি।

পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তিরা হলেন- পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বাঁধন ও তার ভাই রেদোয়ানুল রহমান সাগর, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতিয়ার রহমানের ভাইয়ের ছেলে মিজানুর রহমান (২০) ও হাফিজুল ইসলাম (২৮)।   

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে আরাফাত হোসেন নামে এক শিশু পটকা ফুটানোর জন্য দিয়াশলাই কিনতে স্থানীয় পারুলিয়া বাজারে যায়। বাজারে ওই শিশুর হাতে দিয়াশলাই দেখে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল তাকে থাপ্পর দেন। এর জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে দুই দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় শিশুর দাদা আমজাদ হোসেন আহত হয়েছেন। তাকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার আহত দুই ভাইকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও ভাতিজাকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মারধরের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ভেলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন,‘মঙ্গলবার পারুলিয়া শিমুলতলা বাজারে আরাফাত হোসেন নামে এক শিশুকে থাপ্পড় দেওয়াকে  কেন্দ্র করে বুধবার সকালে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পরে আহত আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নেওয়া পথে আবারও দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুই পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করে।  এসময় এএসআই নারায়ণ চন্দ্রসহ ৪ জন আহত হন। এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষই এজাহার দেয়নি। অভিযোগ পেলে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, উভয় পক্ষের চারজনকে আটক করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার সকালে তাদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।