শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি মিলনায়তনে ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষ রোপণ অভিযান, বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘শিক্ষায় বন প্রতিবেশ আধুনিক বাংলাদেশ’ ও ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টিসম্মত খাবার’ এই দুই প্রতিপাদ্যে জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ মেলার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঘুর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘটছে। পরিবেশ, কৃষিসহ প্রতিটি খাত হুমকির মুখে পড়েছে। ব্যাপক গাছপালা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি প্রাণী, পাখি, কীটপতঙ্গ ও বিলুপ্তপ্রায় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তু রক্ষা করতে পারে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক পরিণতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের বৃহত্তর স্বার্থে দেশ ও এর পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসস্থল, সড়কপথ এলাকায় সবুজ প্রকৃতি গড়ে তুলতে ব্যাপক হারে বৃক্ষ রোপণের আহ্বান জানান রেলপথ মন্ত্রী। তিনি ছাত্র ও যুবকসহ সব পেশা ও শ্রেণির মানুষকে অন্তত তিনটি গাছ লাগাতে বলেন।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সেখানে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজহারুল হক প্রধান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হানিফ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এটিএম সারোয়ার হোসেন, আব্বাস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেলা উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পঞ্চগড় সরকারি মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। ১০ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নার্সারি মালিকসহ এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মেলায় বিভিন্ন ফল, ফুল ও ঔষধি গাছের চারা নিয়ে প্রায় ২৫টি নার্সারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। পরে মন্ত্রী জাতীয় বৃক্ষমেলা উপলক্ষে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন গাছের চারা বিতরণ করেন।